মুক্তিযুদ্ধ স্মরণ করলেই চলে আসে গণ-অভ্যুত্থানের নায়কের কথা। তিনি আমাদের নরসিংদী শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামের সন্তান শহীদ আসাদুজ্জামান। বাবা মৌলভী আবু তাহের। মাতা মতিজান খাদিজা খাতুন। বাবা ছিলেন এলাকার ঋদ্ধ শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতা। আসাদ ১৯৬০ সালে শিবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্টিক, ১৯৬৩ সালে এম, সি কলেজ, সিলেট থেকে আই এ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৬৬ সালে সি টি ল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ভাসানী ন্যাপ ও কৃষক আন্দোলনের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা হলের ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের বেগবানের ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে একছাত্র সভায় সরকার ১৪৪ ধারা জারি করলে ছাত্র সমাজ তা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়- মিছিলের একাংশের অগ্রভাগে ছিলেন আসাদ। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের পূর্ব দিকের ফটকের সামনে এল পিস্তলের গুলিতে আসাদ শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর স্মৃতিতে জনতা স্বত:স্ফূর্তভাবে আইয়ুব গেইট, আসাদ গেইট ও আইয়ুব এভিনিউ আসাদ এভিনিউতে পারণত করে। আসাদ তাঁর নিজ গ্রাম ধানুয়ায় সমাহিত আছেন।
এছাড়াও আরো অনেক ইতিহাস এবং ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের এই ইউনিয়ন পরিষদের। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অনেক অবদান রয়েছে এই ইউনিয়ন পরিষদের। তাছাড়া এই ইউনিয়নে রয়েছে কবি এবং সাহিত্যিকদের বাস ।পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস